তিনি বলেন, ‘দেশে দিন দিন কৃষি শ্রমিকের সংকট বাড়ছে। অন্যদিকে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে রয়েছে কৃষির প্রতি অনীহা। দেশের শিক্ষিত বেকার তরুণদেরকে কৃষিকাজে আকৃষ্ট করতে হবে, তাদের আগ্রহ বাড়াতে হবে।’
তরুণদের মাধ্যমেই কৃষিখাতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। কৃষি উন্নত, আধুনিক ও লাভজনক হতে পারে, বলেন কৃষিমন্ত্রী।
রবিবার নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে যুব উদ্যোক্তা শীর্ষক ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত তরুণেরা পুরনো পদ্ধতির কৃষিতে আকৃষ্ট হবে না। কিন্তু তারা উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতে আগ্রহী হবে।
সরকার কৃষিকে লাভজনক, আধুনিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি কৃষি যান্ত্রিকীকরণের নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। যার মাধ্যমে প্রায় ৫২ হাজার আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের দেয়া হবে। এতে কৃষি উৎপাদন যেমন বাড়বে তেমনি কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতও বাড়বে।
কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ফলে দেশের শিক্ষিত বেকার তরুণেরা খুব সহজেই কৃষিকাজে আকৃষ্ট হবে, আগ্রহী হবে। তরুণেরা শুধু প্রচলিত ফসল নয়, অপ্রচলিত ফসল যেমন কাজু বাদাম, কফি, ড্রাগন ফল, গোল মরিচসহ নতুন নতুন ফসলের চাষাবাদে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে, যোগ করেন তিনি।
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ ওয়েবিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর।